বৈদ‍্যবাটী বিএম ইনস্টিটিউশনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

15th January 2020 হুগলী
বৈদ‍্যবাটী বিএম ইনস্টিটিউশনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা


শীতকাল মানেই উৎসব-মেলা ,আর পিকনিক।শীতকাল মানেই বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। মশাল দৌড় সহকারে ,বর্ণাঢ্য প্রভাতফেরির মাধ্যমে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করলো হুগলী জেলার ঐতিহ্য মণ্ডিত শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যালয় বৈদ্যবাটী বনমালী মুখার্জী ইনস্টিটিউশন।স্থানীয় বি. এস.পার্ক ময়দানে ১৩ এবং ১৪ ই জানুয়ারি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাননীয় অমরনাথ ঘোষাল।বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র সহ ,প্রাক্তন ছাত্র , অভিভাবকরা এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মীরাও একাধিক ইভেন্টে যোগদান করেন।১৪জানুয়ারি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিখ্যাত ফুটবলার বর্তমানে প্রশিক্ষক "শ্রীরামপুর রত্ন " সুকান্ত ব্যানার্জী, বৈদ্যবাটী পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শ্রী ব্রহ্মদাস বিশ্বাস ,স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রীমতি উজ্জ্বলা ঘোষ ,প্রাক্তন অধ্যাপক শ্রী হোমাঞ্জন দাশগুপ্ত সহ এলাকার বহু গুণীজন।রাজ্যস্তরে যুডো চ্যাম্পিয়ন এবং একাধিক পুরস্কারে ভূষিত বিদ্যালয়ের ছাত্র রাজেশ মাঝির হাতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেরা ক্রীড়াবিদের সম্মান তুলে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল বলেন -"পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া চর্চাতেও আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্ররা জেলা- রাজ্য স্তরে একাধিক কৃতিত্ব অর্জন করছে।আমাদের দায়িত্ব ছাত্রদের এই ক্রীড়ামুখী সম্ভাবনাকে বিকশিত করতে সহায়তা করা।"





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।